মাল্টায় চাকরির সুযোগ। উন্নত জীবনযাত্রার মান। ইউরোপীয় জীবনধারার অভিজ্ঞতা এবং নিরাপদ পরিবেশের কারণে চাকরি করার জন্য আকর্ষণীয়। এখানে উচ্চ আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে এবং নির্দিষ্ট কিছু শিল্প যেমন তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক পরিষেবা, এবং পর্যটন ও আতিথেয়তা-তে চাহিদা বেশি। এছাড়াও, ইংরেজি একটি সরকারি ভাষা হওয়ায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় এটি একটি সুবিধাজনক স্থান।
মাল্টায় যাওয়ার কারণ-
মাল্টায় কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে, আপনাকে প্রথমে একটি চাকরির অফার পেতে হবে এবং তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট, কর্মসংস্থান চুক্তি, থাকার প্রমাণ এবং আর্থিক বিবরণের মতো নথি সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনটি মাল্টার স্বরাষ্ট্র বিভাগ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করতে হয় এবং এটি একটি একক পারমিট বা অন্যান্য নির্দিষ্ট ওয়ার্ক পারমিট হতে পারে। ইউরোপের দেশ, ইংরেজি ভাষা প্রচলিত, শ্রমিক সংকট ও বিদেশি কর্মীর চাহিদা বাড়ছে কারণ অনেক খাতে অভিজ্ঞতা ছাড়াও কাজের সুযোগ, তুলনামূলক সহজ ওয়ার্ক পারমিট প্রসেস হলো।
কোন কোন খাতে বেশি চাহিদা-
নির্মাণ শিল্পে লেবার, হেলপার, হোটেল/রেস্টুরেন্ট ক্ষেত্রেওয়েটার, ক্লিনার, কিচেন হেল্পার, ক্লিনিং ও হাউসকিপিং হিসেবে হাউস ক্লিনার, কেয়ারগিভিং হিসেবে বৃদ্ধদের যত্ন, ফ্যাক্টরি ক্ষেত্রে প্যাকিং, প্রোডাকশন হেল্পার, আইটি/ অফিস সফটওয়্যার শিল্পে আইটি সাপোর্ট।
যাওয়ার পদ্ধতি-
পাসপোর্ট ও প্রস্তুতি। বৈধ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (M & R), সিভি (ইংরেজিতে), কাজ অনুযায়ী সনদ/অভিজ্ঞতা।
চাকরি খোঁজা-
সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে হবে, বিশ্বস্ত রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি থেকেও অফার আসতে পারে, চাকরির অফার লেটার পাওয়ার পরই পরবর্তী ধাপ।
ওয়ার্ক পারমিট আবেদন-
মাল্টার নিয়োগকর্তা (বসঢ়ষড়ুবৎ) তোমার পক্ষে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করবে। সাধারণত ৩-৬ মাস সময় লাগতে পারে।
ভিসা আবেদন-
ওয়ার্ক পারমিট হাতে পাওয়ার পর বাংলাদেশে মাল্টা দূতাবাস/কনস্যুলেটে ভিসা আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো হলো অফার লেটার, ওয়ার্ক পারমিট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, মেডিকেল রিপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
মাল্টায় যাত্রা ও কাজ শুরু-
ভিসা হাতে পাওয়ার পর ফ্লাইট বুক করে মাল্টায় পৌঁছানোর পরে নিয়োগকর্তার নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু করতে পারবেন।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট- প্রাইভেট সেক্টরে কাজের জন্য jobsinmalta.com
সতর্কতা (যে ভুলগুলো কখনো কর না)-
অফার লেটার বা ভিসা পাওয়ার আগে কাউকে টাকা দিও না। খুব বেশি বেতন বা ‘নো এক্সপেরিয়েন্স লাগবে না’। এগুলো হতে পারে ফাঁদ। এজেন্সি বললেই বিশ্বাস কর না- সব নিজে যাচাই কর, সব ডকুমেন্ট ও শর্ত লিখিতভাবে নিতে হবে, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বা BMET থেকে যাচাই করে নাও।
টিপস- ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, কাজ অনুযায়ী শর্ট ট্রেনিং (যেমন: কেয়ারগিভার, হাউসকিপিং) করে ফেল। সবসময় বৈধ ও সঠিক পথে যাওয়া শর্টকাটে প্রতারণা হতে পারে
প্রফেশনাল LinkedIn প্রোফাইল খুলে চাকরির সুযোগ বাড়া